Freelance

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়?

ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ থেকে আয় এর অন্যতম মাধ্যম হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যামাজনে থাকা প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক ওয়েবসাইটে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার পর ওই লিংক ব্যবহার করে কেনা পণ্যের জন্য কমিশন পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

Table of Contents

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম কি?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বা অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস হলো একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম। ওয়েবসাইট ও ব্লগের মালিকগণ খুব সহজেই অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস হতে পারেন।

ওয়েবসাইট ভিজিটের সময় এমাজন এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কেউ যখন কোনো পণ্য ক্রয় করে, তখন ওয়েবসাইট এর মালিক অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েট একটি কমিশন পান। অর্থাৎ আপনার ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজনের প্রোডাক্ট প্রোমোট ও সেল করা থেকে কমিশন আয় এর প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম কিভাবে কাজ করে

অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম কয়েকটি সহজ ধাপে কাজ করে। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রেঃ

  • মার্কেটার (যিনি এফিলিয়েটের মাধ্যমে আয় করতে চান) প্রথমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরী করেন
  • প্রতিটি ওয়েবসাইট এর মালিককে ইউনিক অ্যাসোসিয়েট আইডি দেওয়া হয়
  • অ্যাসোসিয়েট হওয়ার অ্যাপ্লিকেশন এপ্রুভ করা হলে অ্যামাজন পোর্টাল থেকে অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরী করা যাবে
  • এরপর অ্যাসোসিয়েটগণ তাদের ওয়েবসাইটে অ্যামাজন প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করেন
  • যখনই কোনো ক্রেতা অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কোনো অ্যামাজন প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, তখন উক্ত অ্যাসোসিয়েট কমিশন পেয়ে থাকেন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর শর্তসমুহ

আপনার শখের ওয়েবসাইট থেকে আয় হোক কিংবা আপনার ব্র‍্যান্ডের জন্য বাড়তি আয় এর উপায়, যেকোনো ক্ষেত্রেই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজে আসতে পারে। অবশ্য অ্যামাজন প্রদত্ত কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেগুলো পূরণ করে তবেই অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট হওয়া যাবে।

অ্যামাজন প্রদত্ত বেশিরভাগ শর্ত এথিক্যাল প্রোমোশন এর উদ্দ্যেশ্যে প্রণিত। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর অন্যতম শর্তসমূহ হলোঃ

  • আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত রিকমেন্ডেশন থেকে বিক্রি হতে পারে তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে
  • কোনো পণ্য প্রোমোট এর ক্ষেত্রে মিথ্যা দাবি বা ধোঁকাবাজি করা যাবেনা
  • যেহেতু প্রোডাক্টের মূল্য উঠানামা করে, তাই প্রোডাক্টের মূল্য উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকুন
  • তবে কিছু নির্দিষ্ট, যেমনঃ অফার বা ডিসকাউন্ট পোস্ট এর ক্ষেত্রে মূল্য উল্লেখ করা যাবে
  • ইবুক কিংবা ইমেইল এর মতো মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ
  • অ্যাফিলিয়েট লিংক এর ক্ষেত্রে অ্যামাজন ব্যতীত অন্য কোনো লিংক শর্টেনার/ক্লোকার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সম্পূর্ণ পলিসি সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হওয়ার নিয়ম

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে আয় করার পূর্বে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হবেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে?

ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি

যেহেতু অ্যামাজন প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক ওয়েবসাইট বা ব্লগ পোস্টে যুক্ত করা অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত, তাই প্রথমে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরী করতে হবে। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হতে হলে একটিভ ওয়েবসাইট, ব্লগ, অ্যাপ বা ইউটিউব চ্যানেল এর প্রয়োজন।

ওয়েবসাইটে মানসম্মত কনটেন্ট থাকা একান্ত জরুরি, যাতে অ্যামাজন ও ব্যবহারকারী, উভয়ের কাছেই ওয়েবসাইটটি বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমে পরিণত হয়। যেহেতু অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানাতে হবে, তাই ওয়েবসাইট কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের আংগিকে তৈরী হলে ভালো হয়।

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস অ্যাকাউন্ট তৈরী

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হতে আবেদন করতে হলে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস একাউন্ট এর প্রয়োজন হয়৷ অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস একাউন্ট তৈরি করতে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস হোমপেজে প্রবেশ করে Sign Up এ ক্লিক করুন। এরপর অ্যামাজন একাউন্ট থাকলে সেটি ব্যবহার করে লগিন করুন কিংবা না থাকলে নতুন একাউন্ট তৈরী করুন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অ্যামাজন এসোসিয়েট অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন পূরণ

যার নামে অ্যাফিলিয়েট থেকে আয়কৃত অর্থ জমা হবে, তার লিগ্যাল নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার প্রদান করুন। এরপর ওয়েবসাইট, ব্লগ, অ্যাপ বা ইউটিউব চ্যানেল এর লিংক প্রদান করুন।

এরপর আপনার স্টোর আইডি প্রদান করুন। আপনার ওয়েবসাইট এর নামকে স্টোর আইডি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার ওয়েবসাইট এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করুন। এছাড়াও আপনি যেসব ধরনের প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরী করবেন, তাদের অ্যামাজন টপিকসমুহ সিলেক্ট করুন।

ওয়েবসাইট ট্রাফিক এর উৎস নিশ্চিতকরণ

এরপর আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক এর উৎস তুলে ধরুন। আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে আপনি কিভাবে আয় করেন, আপনি কিভাবে লিংক তৈরী করেন ও মাসিক আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর সংখ্যা, ইত্যাদি তথ্য প্রদান করুন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট

পেমেন্ট মেথড হিসেবে ক্রেডিট কার্ড এর তথ্য প্রদান করুন। ট্যাক্স আইডির তথ্য তারই সাথে বা পরেও প্রদান করতে পারবেন। এরপর আপনার ড্যাশবোর্ডে চলে যান

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লিংক তৈরী

অ্যাকাউন্ট তৈরীর পর আপনার ব্যক্তিগত অ্যাসোসিয়েট হোমপেজ দেখতে পাবেন। এখানে পারফরম্যান্স ড্যাশবোর্ড, আপনার আয়ের ওভারভিউ, মোট ক্লিক, ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন। এইখান থেকেই অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরির জন্য প্রোডাক্ট খুঁজতে পারবেন।

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস অ্যাকাউন্ট খোলা তো হয়ে গেলো। এবার জানি চলুন কিভাবে অ্যামাজন প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরী করবেন।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরির নিয়ম

এমাজন এফিলিয়েট লিংক তৈরী করতেঃ

  • আপনার এমাজন এসোসিয়েটস একাউন্টে লগিন করুন
  • টপ ব্যানারে থাকা Product Linking এ ক্লিক করুন ও Product Links এ ক্লিক করুন
  • এরপর যে প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট লিংক তৈরী করতে চান, তার ASIN কোড প্রদান করুন, এই কোড প্রোডাক্ট ডিটেইলস সেকশনে পেয়ে যাবেন
  • Go বাটন চাপুন ও এরপর Get Link বাটন চাপুন
  • এছাড়াও অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস সাইটস্ট্রিপ ব্যবহার করে সরাসরি প্রোডাক্ট পেজ থেকেই অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরী করতে পারবেন

এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় এর নিয়ম

এমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া তেমন একটা আহামরি কঠিন কিছু নয়। মূল কঠিন কাজ হলো ওয়েবসাইটে থাকা এমাজন এফিলিয়েট লিংক থেকে সেল জেনারেট করা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট নিশ বাচাই

আপনার ওয়েবসাইটে যদি একই সাথে বিউটি প্রোডাক্ট, নোভেল রাইটিং ও বেবি কেয়ার এর মত তিনটি আলাদা বিষয়ে একসাথে কনটেন্ট থাকে, তাহলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হলেও সেল জেনারেট করতে বেশ বেগ পেতে হবে। কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে আমরা যেমন আমাদের এক্সপার্ট বন্ধুটিকে জিজ্ঞেস করে থাকি, এক্ষেত্রেও একটি ওয়েবসাইট শুধুমাত্র কতিপয় বিষয়কে ভিত্তি করে তৈরী করাই শ্রেয়।

ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট এর নির্দিষ্ট বিষয় অর্থাৎ নিশ থাকলে ওয়েবসাইট এর ভিজিটরগণ কনটেন্টে থাকা প্রোডাক্টসমুহ কেনার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস পায়। তাই ওয়েবসাইট এর নিশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোডাক্ট রিভিউ ও তুলনাকেন্দ্রিক পোস্ট

যেকোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে আমরা কমবেশি সবাই ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে থাকা রিভিউ পোস্টগুলো পড়ে থাকি। এই কারণে প্রোডাক্ট রিভিউ পোস্ট থেকে অ্যাফিলিয়েট সেল জেনারেট এর সম্ভাবনা অধিক থাকে।

প্রোডাক্ট রিভিউ এর ক্ষেত্রে দুইটি একই ধরনের প্রোডাক্টের তুলনাকেন্দ্রিক পোস্টসমুহও অ্যাফিলিয়েট সেল এর জন্য ভালো কাজে আসতে পারে। এক্ষেত্রে ভিজিটর যে প্রোডাক্ট ই বাছাই করুন না কেনো, উভয় প্রোডাক্ট থেকে সেল জেনারেট করার একটি সুযোগ রয়েছে।

সরাসরি প্রোমোশন

শুধুমাত্র ব্লগ পোস্টে উল্লিখিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট থেকে আয় করা যায়, এমন কিন্তু নয়। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে একটি স্টোরফ্রন্ট বানাতে পারেন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট লিস্টেড থাকবে, কিন্তু কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাগন অ্যামাজন এর ওয়েবসাইট থেকে কিনবে।

এই ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট নিজেই একটি অনলাইন শপ হিসাবে আচরণ করে ও প্রোডাক্টসমুহ সাধারণ অনলাইন শপের মত সাজানো থাকে। কোনো ব্যবহারকারী কেনার সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে যুক্ত থাকা অ্যামাজন লিংকে প্রবেশ করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশন

সোশ্যাল মিডিয়া কতটা শক্তিশালী, এটি আশা করি নতুন করে কাউকে বলতে হবেনা। চেষ্টা করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইটের প্রোমোশন চালাতে। এর ফলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ার সাথে সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে প্রোডাক্ট কেনা ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।

এছাড়াও এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে গুরুত্ব দিন। আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কনটেন্ট যদি গুগল সার্চের প্রথম পাতায় থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ থেকে অনেক ট্রাফিক আসবে।

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটদের কিভাবে পেমেন্ট করা হয়?

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটদের সরাসরি ডিপোজিট এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি অটোমেটিক আপনার অর্জিত অর্থ ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও অ্যামাজন গিফট কার্ড বা মেইল এর মাধ্যমে চেক পাওয়ার সুযোগ ও রয়েছে।

এমাজন এফিলিয়েটদের কখন পেমেন্ট করা হয়?

অ্যামাজন এফিলিয়েটদের প্রতি মাসে পেমেন্ট করা হয়। তবে প্রতি মাস শেষের দুইমাস পরে ওই মাসের পেমেন্ট প্রদান করে অ্যামাজন। অর্থাৎ জানুয়ারিতে অর্জিত অর্থ হাতে পাবেন মার্চ মাসে

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস হিসেবে কমিশন কখন যুক্ত হয়?

একজন অ্যাসোসিয়েট তখনই তার কমিশন পান, যখন একটি অর্ডার কাস্টমারের কাছে শিপিং এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

আপনি কি এমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে অর্থ আয় করেন? আপনার অভিজ্ঞতা কমেন্টে জানান!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: দুঃখিত!! কপি করা যাবে না, শেয়ার করুন।

Adblock Detected

Please Turn Off Your AdBlocker