SEO কাকে বলে এবং SEO কত প্রকার ও কি কি? SEO কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এসইও কি? এসইও কত প্রকার ও কি কি? এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ? এসইও কিভাবে শিখবো?
SEO কাকে বলে ? SEO এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Search Engine Optimization. Search অর্থ অনুসন্ধান, Engine অর্থ যন্ত্র আর Optimization সবচেয়ে ফলপ্রসূভাবে পরিচিতি করানো। অর্থাৎ Search Engine Optimization অর্থ সবচেয়ে ফলপ্রসূভাবে অনুসন্ধান যন্ত্রের কাছে পরিচিতি করানো।
SEO কাকে বলে?
SEO হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে বা শীর্ষে নিয়ে আসা। এসইও একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পচিচিতি ঘটিয়ে তাকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে নিয়ে আসা।
একটি কোম্পানি কেন এসইও করে? এসইও এর মাধ্যমে একটি কোম্পানীর ওয়েব সাইট বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে আসলে যখন কোন ভিজিটর শীর্ষে থাকা সাইটের তথ্য পাওয়ার জন্য সেখানে প্রবেশ করে। এভাবে কোন কোম্পানী তাদের প্রডাক্ট বা সার্ভিসকে ভিটিটরের কাছে পরিচিতি ঘটায়।
আর এর মাধ্যমে ভিজিটর সেই কোম্পানীর পন্য সম্পর্কে তথ্য লাভ করে প্রডাক্ট বা সেবা ক্রয় করার জন্য মনন্থির করে। এভাবে কোম্পানী তাদের পন্য বা সেবা ক্রেতার কাছে পৈৗছে দিয়ে তাদের ব্যবসার পরিধি আরো বিস্তার করে এবং কোম্পানী আগের চেয়ে বেশি সেলস করতে পারে।
SEO কত প্রকার ও কি কি?
প্রথমত SEO বা Search engine optimization দুই প্রকার:
- হোয়াইট হ্যাট (White Hat) SEO
- ব্লাক হ্যাট (Black hat) SEO
হোয়াইট হ্যাট (White Hat) SEO
যে পদ্ধতিতে কোন ধরনের অবৈধ্য উপায় অবলম্বন না করে সঠিকভাবে প্ররিশ্রম করে ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনে র্যাংক করানো হয় তাকে হোয়াইট হ্যাট SEO বলে। এই পদ্ধতিটি সব ধরণের সার্চ ইন্জিন সমর্থন করে এবং হোয়াইট হ্যাট SEO তে কোন ধরনের রিকস নেই।
হোয়াইট হ্যাট SEO আবার দুই প্রকার:
- পেইড (Paid) SEO
- অর্গানিক (Organic) SEO
What is Paid SEO (পেইড এসইও কি):
যে এসইও(SEO) করানোর জন্য গুগলকে টাকা দেওয়া হয় তাকে পেইড SEO(এসইও) বলে। গুগল থেকে যে কয়জন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করে প্রবেশ করবে সেই প্রতি ক্লিকে আপনাকে গুগলকে টাকা দিতে হবে।
পেইড এসইও(SEO) এর মাধ্যমে খুব সহজেই গুগলের প্রথম পেজ এর সাবার উপরে আসা যায় যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচুর ভিজিটর গুগল থেকে পাওয়া যায়।
পেইড এসইও মানে হচ্ছে ads এর বিনিময় ট্রাফিক জেনারেট করা কে বোঝায়। এতে অর্থের প্রয়োজন হয়।
- Google ads
- Bing ads
- Facebook ads
- Instagram ads
- Native ads
- Push ads
এরকম হাজারো বিজ্ঞাপনের বিনিময় ওয়েবসাইটের ট্রাফিক জেনারেট করা কে Paid Seo বলে।
What is Organic SEO (অর্গানিক এসইও কি):
যে এসইও(SEO) এর জন্য গুগলকে টাকা দেওয়া হয় না তাকে অর্গানিক এসইও(SEO) বলে। এর জন্য শুধু একটু কষ্ট করে আপনার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আপনার সাইটে কিছু পরিবর্তন করে গুগলকে বুজাতে হয় যে আপনার সাইটে এই এই তথ্য রয়েছে তাহলেই গুগলের সবার প্রথম পেজের সবার উপনে আনা সম্ভব।
Organic বা জৈবিক নাগাদ হল এমন লোকের সংখ্যা যা অর্থ প্রদানের বিতরণ ছাড়াই আপনার সামগ্রী দেখেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সকল রকম অ্যালগরিদম মেনে একটি কনটেন্ট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে দেখানোর চেষ্টা করা কে অর্গানিক এসইও বলে। Organic SEO আবার দুই প্রকার যথা: ON PAGE SEO এবং OFF PAGE SEO.
অর্গানিক এসইও(SEO) আবার দুই প্রকার:
- অনপেজ এসইও(Onpage SEO)
- অফপেজ এসইও(Offpage SEO)
অন পেজ এসইও কি (What is ON Page SEO):
অনপেজ এসইও(seo) হলো ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরিণ এমন কিছু কাজ যা করার মাধ্যমে সার্চ ইন্জিন ওয়েবসাইটটি সর্ম্পকে জানতে পারবে এবং ওয়েবসাইটটিকে সহজেই খুজে পাবে।
এসইও(SEO) এর ক্ষেত্রে অনপেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে যদি কোন ভাবে কোন রকমের একটুও ভুল হয় তাহলে কিন্তু সার্চ ইন্জিন আর আপনার সাইটিকে খুজে পাবে না। তাই এই কাজটি খুবই দক্ষতার সাথে করতে হয় ।
অন পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইট এর ভিতরে যে অপটিমাইজেশন করা হয়। যেমন ওয়েব পেজের মধ্যে যত ধরনের কনটেন্ট থাকে, সেগুলোকে ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে গড়ে তুলাই হচ্ছে অন পেজ এসইও এর কাজ।
অনপেজ এসইও(SEO) এর ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটে যে যে কাজ গুলো করতে হয় তা হলো:
- Domain Name Optimization
- Title Optimization
- Keyword Optimization/keyword research
- Meta Description Optimization
- Html tag H1,H2,H3 Optimization
- Verify google webmaster tools
- Index sitemap
- No follow, Do follow
- Web analytics
- Content Optimization
- Image Optimization
- Increase website speed
বিশেষকরে একটি ওয়েব পেজের টাইটেল ট্যাগ, ম্যাটা ট্যাগ ও কীওয়ার্ড সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন করাকে অন পেজ এসইও বলে। on page seo করার জন্য কিছু নিয়ম গুলি নিচে তুলে ধরা হলো।
- কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research):
- ইউআরএল অপটিমাইজেশন (URL Optimization)
- টাইটেলে কিওয়ার্ড যুক্ত করা (Use Keyword in Tittle)
- ইমেজ অলটার ট্যাগ (Image Alter Tag)
- ইমেজ অপটিমাইজেশন (Image Optimization)
- ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ(Short Paragraph)
- H1, H2 ও H3 ট্যাগে কিওয়ার্ডের ব্যবহার (Use of Keyword in H1, H2, and H3)
- ইন্টারনাল লিংক (Internal Link)
- এক্সটারনাল লিংক (External Link)
- কিওয়ার্ড ডেনসিটি (Keyword Density)
এভাবে অনপেজ এসইও করলে, আপনার ওয়েবসাইট গুগোল রেংক পেতে কোন সমস্যা হবে না। এভাবেই মূলত অনপেজ এসইও করে।
অফপেইজ এসইও কি (What is off-page SEO):
অফ পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের বাহিরে SEO অপটিমাইজেশন করা হয় তাকে বোঝায়। যেমন হতে পারে অতিথি ব্লগিং, প্রোফাইল ব্যাকলিঙ্ক, ওয়েবসাইট ব্যাকলিংক, মন্তব্য ব্যাকলিঙ্ক, ফোরাম পোস্টিং এগুলো করে নিজের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনা কে ও off page seo বলে।
ব্যাকলিংক ওরফে লিংকবিল্ডিং এ বিষয়ে আমাদের একটি টিউটোরিয়াল আছে। ওটি পড়লে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন অফ পেজ এসইও সম্পর্কে। অফ পেজ এসইও কি কিভাবে করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করি।
যে কোন ওয়েবসাইটের প্রচার প্রচারনা বৃদ্ধি করাকেই অফপেজ এসইও বলে। সার্চ ইন্জিন ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করা ।
যেমন অন্য জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটে আপনার সাইটের লিংক দেওয়া বিভিন্ন ফ্রাম সাইটে আপনার সাইটের লিংক শেয়ার করা । সোশাইল মিডিয়াতে আপনার সাইটের লিংক শেয়ার করা এগুলোই মুটামুটি অফপেজ এসইও(SEO) এর অংশ।
অফপেজ এসইও(Offpage SEO) হলো বিশাল বড় পরিসরে ও দীর্ঘ সময়ের কাজ। তাই নিয়মিত অফপেজ এসইও(offpage SEO) করে যেতে হয় তাহলেই উন্নতি লক্ষ্য করা যাবে।
অফপেজ এসইও(SEO) এর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় সে গুলো হলো:
- Backlink (ব্যাকলিংক)
- Link Building (লিংক বিল্ডিং)
- web 2.0 (ওয়েব ২.০)
- Social Share (সোশ্যাল শেয়ার)
- Guest Posting (গেস্ট পোস্টিং)
- Forum Posting (ফোরাম পোস্টিং)
- Email Marketing (ইমেল মার্কেটিং)
- Broken Link (ব্রোকেন লিংক)
- Document Sharing (ডকুমেন্ট শেয়ারিং)
- Infographic Submission (ইনফোগ্রাফিক সাবমিশন)
- Article Submission
- Social Bookmarking
- Review Submission
- PDF Submission
- Video Submission
- Image Submission
- Directory Submission
এগুলোর মাধ্যমেই মূলত অফ পেজ এসইও করতে হয়। যারা জানেন না এগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন, তাহলে off page অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যাবেন।
ব্লাক হ্যাট এসইও(Black hat SEO):
যে প্রদ্ধতিতে অবৈধ উপায়ে সার্চ ইন্জিনকে বোকা বানিয়ে নানা রকম স্পামিং এর মাধ্যমে সার্চ ইন্জিনের প্রথম পেজের সবার উপরের দিকে আসা যায় তাকে ব্লাক হ্যাট এসইও(SEO) বলে।
এই এসইও(SEO) কোন সার্চ ইন্জিনই সমর্থন করে না। তাই এটা অস্থায়ী । ব্লাক হ্যাট এসইও(SEO) করলে যে কোন সময় আপনার সাইটিকে গুগল প্লান্টি দিতে পারে যার ফলে আপনি আর কখনোই শত চেষ্টা করেও আপনার সাইটিকে সার্চ ইন্জিনে র্যাংক করাতে পারবেন না।
তাই ব্লাক হ্যাট এসইও(SEO) না করাই উত্তম।
ব্লাক হ্যাট এসইও এর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় তা হলো:
- Doorway page
- Keyword Stuffing
- Invisible Article
- Duplicate content
- Paid Backlink
আরো এক ধরনের এসইও(SEO) রয়েছে সেটি সাধারণত হোয়াইট হ্যাট ও ব্লাগ হ্যাট এর সংমিশ্রণে করা হয় সেটি হলো গ্রে হ্যাট এসইও।
এসইও(SEO) কেন গুরুত্বপূর্ণ:
ধরা যাক আপনি একটি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করলেন । এবং সেই কম্পানির অনেক ভালো ভালো পণ্য রয়েছে। এবং আপনি অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেই কম্পানির পন্যের মান আরো উন্নত করার জন্য।
এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনি আপনার সমস্ত প্ররিশ্রম দিয়ে সবার চেয়ে ভালো পন্য তৈরি করলেন কিন্তু আপনার সেই পণ্য ততক্ষন পর্যন্ত কেউ কিনবে না যতক্ষণ না মানুষ আপনার পন্য সর্ম্পকে এবং আপনার পন্যের মান সর্ম্পকে জানতে পারবে ।
এর জন্যই রয়েছে বিজ্ঞাপন সিস্টেম।
আর আপনারা সকলেই জানেন যে বিজ্ঞাপন মানেই একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশাল একটি খরচের স্থান বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বিশাল অঙ্কের একটা অর্থ ব্যয় করে থাকে।
আর বিজ্ঞাপনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের সকল মানুষকে আপনার পন্যটির গুণগত মান সর্ম্পকে জানানো যাতে তারা সেটি দেখে আপনার পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয় এবং আপনার বেশি সেল হয় এবং বেশি সেল মানে বেশি লাভ।
কিন্তু আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আপনার কম্পানির মার্কেটিং ডিজিটাল উপায়ে করেন তাহলে কিন্তু মার্কেটিং এর উপর আপনার কম্পানির খরচ হবে প্রায় শূণ্য ।
অর্থাৎ যে কাজটি আপনি বিভিন্ন জায়গায় যেমন টেলিভিশন , রেডিও অথবা প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করতেন সেই কাজটি যদি আপনি ডিজিটাল উপায়ে করেন তাহলে আপনার খরচ প্রায় শূণ্য ।
আর এ কাজটা করা সম্ভব শুধু মাত্র এসইও(SEO) এর মাধ্যমে।
আপনি আপনার কম্পানির জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে আপনার কম্পানির ও আপনার কম্পানির পন্য সর্ম্পকে মানুষকে ধারণা দিতে পারেন এবং তার দাম ও গুনগত মান সর্ম্পকে ও ধারণা দিতে পারেন।
এবং সেই সাইটে যদি এসইও(SEO) করেন তাহলে হাজার হাজার লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনার কম্পানি সর্ম্পকে জানতে পারবে এবং আপনার কম্পানির পন্য যদি ভালো হয় তাহলে তারা তা কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
শুধু যে কোন কম্পানির ক্ষেত্রেই এসইও গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয় আপনার যে কোন ধরনের কাজে বা যে কোন ধরনের ওয়েবসাইটের জন্যই এসইও(SEO) বেশ গুরুত্বপূর্ণ ।
আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেন তাহলেও সেই সাইটে ভিজিটর আনার জন্য এসইও এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
SEO কিভাবে শিখবো?
অনেকে মনে করে থাকেন এসইও(SEO) শিখার জন্য হয়ত অনেক টাকা খরচ করে বড় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে হয় অথবা অভিজ্ঞ কোন ব্যাক্তির কাছ থেকে শিখতে হয়। যা খুবই খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার ।
আমরা সকলেই জানি অনলাইনে তারাই কাজ করতে আসে যাদের পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো না তাই বলে যে অবস্থা সম্পন্ন মানুষ এই কাজ করে না তা কিন্তু নয় তারা ও করে কিন্তু সেটা হাতে গুনা, এবং তুলনামুলক অনেক কম।
তাই এত বড় প্রতিষ্ঠানে এত বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে আমাদের মধ্যে অনেকের পক্ষেই এসইও(SEO) শিখা সম্ভব না।
শুধু যে বড় প্রতিষ্ঠানই রয়েছে তা কিন্তু নয় বর্তমানে আমাদের আশে পাশে বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে এবং তারা খুব কম টাকায় এসব কাজ শেখাবে বলে, এবং কাজ করে কোর্স ফি পরিশোধ করবে বলে বিভিন্ন লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
অনেকে হয়ত এসব ফাদে পরে তাদের কাছে যেয়েও থাকবে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। তাই এসব ছোট প্রতিষ্ঠানে না যাওয়াই ভালো তারা বেশিরভাগই পতারক ।
সবার কথা বলছি না কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান থাকে যারা আসলেই খুব ভালো শিখিয়ে থাকে।
তবে যে সব প্রতিষ্ঠানই খুব ভালো শিখিয়ে থাকে তারা সবাই বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা কোর্স ফি হিসেবে দাবি করে থাকে।
এর ফলে অনেকেরই ইচ্ছা থাকা সত্যেও এসইও(SEO) এর কাজ শিখা হয় না।
SEO শিখে কিভাবে আয় করবেন ?
গুগল এডসেন্স
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে: আপনি যদি খুব ভালো এসইও(SEO) করতে পারেন এবং যে কোন সাইট আপনি এসইও(SEO) করে র্যাংক করাতে পেরে থাকেন তাহলে আপনার জন্য গুগল এডেসেন্স হতে পারে এক অন্যতম আয়ের উৎস।
এর জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সেখানে নিয়মিত কিছু কিছু আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এবং তা পরিপূর্ণ এসইও করে গুগলে প্রথম পেজে র্যাংক করাতে হবে ফলে খুব কম সময়ে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসতে শুরু করবে তারপর আপনি আপনার সাইটে গুগল এডসেন্স এড করে দিবেন এবং সেখান থেকে আপনার আয় হতে থাকবে।
এটা খুবই ভালো ও জনপ্রিয় আয়ের উপায়। বিশ্বের অনেক মানুষ এইভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা আয় করে চলেছে।
আপনি যদি সত্যি আপনার সাইটে পরিপূর্ণ এসইও(SEO) করে ভালো পরিমাণের ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে এখান থেকে আপনার প্রতি মাসে ১০০০ এর ও বেশি ডলার আয় হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অনলাইনে এমন অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বিভিন্ন বড় বড় জনপ্রিয় ব্লগ বা ওয়েবসােইটকে অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে সেরা ও বড় ই-কমার্স ওয়েবসেইট হলো Amazon।
আমরা সকলেই হয়ত Amazon নামটি শুনেছি। তো আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন পণ্য সর্ম্পকে বিস্তারিত লিখে রাখেন এরং সেই পোষ্টের নিচে যদি কোন সাইটের অ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিয়ে দেন তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করে অনেকে সেই পন্য টি সেই ওয়েবসােইট থেকে কিনবে যার ফলে সেই ই-কমার্স সাইট আপনাকে তাদের লভ্যাংশ থেকে কিছু টাকা দিবে । এভাবে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে হ্যা এই কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই খুব ভালো এসইও(SEO) জানতে হবে। কারণ এই সব সাইটের গুগলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি তাই তাদেরকে টপকে আপনার সাইটেকে র্যাংক করা এক কথায় প্রায় অসম্ভব তাই অবশ্যই আপনাকে খুব ভালো এসইও(SEO) এর কাজ জানতে হবে একমাত্র এসইও(SEO) এর মাধ্যমেই এই কাজে সফল হওয়া সম্ভব।
মার্কেটপ্লেস
মার্কেটপ্লেস: আপওয়ার্ক, ইল্যান্স, ফীল্যান্সার, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে। চাইলে সেগুলোতে জয়েন করে এসইও(SEO) এর কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন।
এসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক মানুষ রয়েছে যারা এসইও(SEO) এর কাজ করানোর জন্য বসে রয়েছে আপনি তাদের কাজ করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে আপনার পারিশ্রমিক হিসেবে একটা অর্থ দাবি করতে পারেন এবং এভাবে আপনি প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
লোকাল মার্কেট
লোকাল মার্কেট: আপনি যদি ভালো ভাবে খোজ নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার আশে পাশে কিংবা আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের অনেককেই পাবেন যারা এসইও(SEO) এর কাজ করাতে চায় ।
তো আপনি তাদের কাজ গুলো করে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়াও আপনার আশেপাশে এমন অনেক কম্পানি পাবেন যাদের এসইও(SEO) করার জন্য কর্মী দরকার তো যদি ভাগ্য সহায় হয় তাহলে একটি জব ও পেয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সাইটের সাথে যুক্ত হয়ে আপনি কন্ট্রাকে এসইও(SEO) করে দিতে পারেন এবং টাকা আয় করতে পারেন।
লোকাল ব্যবসা SEO কি?
লোকাল ব্যবসা: আপনার যদি কোন পন্য থেকে থাকে তাহলে আপনি তার ব্যবসা করতে পারেন এসইও(SEO) করার মাধ্যমে।
ধরুন আপনার একটি ইনেক্টনিক পন্যের দোকান আছে বা যেকোন ধরনের দোকান আছে আপনি ইচ্ছে করলে সেই পন্য গুলো আপনার ওযেবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন ।
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ।
যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচে শেয়ার অবশন থেকে আপনার সকল বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এবং আর্টিকেল সর্ম্পকে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই তা নিচে কমেন্ট বক্স এ জানাতে ভুলবেন না।